মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বর্তমান যুব সমাজ কিছু মন্তব্য করেছেন যেমন চায়ের দোকান চাপের দোকান ঘুগনির দোকান। এই ভিডিওগুলো চারিপাশে খুবই ছড়াবে দেখা যাচ্ছে। মানুষের আলাদা আলাদা রকমারি মন্তব্য করছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট থেকে। সবাই তাদের কোন মন্তব্য করছে, মুখ্যমন্ত্রীর কথাতে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক দিক যতটা খারাপের দিকে যাচ্ছে তাতে তো সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে চরম পরিমাণে। বিভিন্ন মন্ত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে মোটা কালো টাকার পরিমাণ। শুধু মন্ত্রী না তার সাথে জড়িয়ে আছে আরো অনেক সঙ্গী সাথী। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ তো হচ্ছে না বললেই চলে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি দেখার পরে মমতা ব্যানার্জি এবং আরো অনেক মন্ত্রীরা, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং বলছে খুব শিগগিরই আবার শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে, বিভিন্ন স্কুল কলেজ গুলিতে শূন্যস্থান পূরণ করা হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এরকম কত মন্ত্রী বলে আবার সেই কথা ধুলোয় মিশে যায় বাস্তবে পরিণতি পায় না প্রায় সব প্রতিশ্রুতি।

Business standard নামক ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় মমতা ব্যানার্জি গত বৃহস্পতিবার, খড়্গপুরের একটি স্টেজ – এ নতুন করে ঘোষণা করেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি পরিমাণ লোক কাজ করবে। বর্তমানে যত বেরোজগড় লোক রয়েছে তারা বেরোজগার থাকবে না।
রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে খড়্গপুরে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অনেক কর্ম স্থান শুরু হবে মমতা ব্যানার্জি বলেছে এই প্রজেক্ট এর জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বীরভূমে একটি কয়লা খনি থেকে প্রায় এক লাখ মতো কর্মনিয়োগ হতে চলেছে। মমতা ব্যানার্জি স্বয়ং বলেছে বীরভূমের দ্বিও চা পাঁচামি কয়লা খনিতে কাজ শুরু করা হয়েছে কিন্তু সেখানকার লোকাল রাজনৈতিক দলগুলি যেমন বিজেপি ও সিপিআইএম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে জঙ্গলমহলের সুন্দরী প্রজেক্ট এর ওপর সেখানে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান তৈরি হতে চলেছে। সাথে রয়েছে পুরুলিয়া, যেখানে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করা হয়েছে। বর্তমানে চামড়া শিল্প তে প্রচুর পরিমাণ কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের লিডারদের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে মালদাতে এবং বেলঘড়িয়া তে তাজপুর ডিপ সি বন্দর তৈরি হতে চলেছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণ কর্মসংস্থান শুরু হবে। জানা যাচ্ছে নতুন করে ২৬ টি হেলিপ্যাড তৈরি করা হবে পশ্চিমবঙ্গে।
কোচবিহারে বিমানবন্দরের জন্য জমির আবেদন করা হয়েছে কিন্তু কেন্দ্র সরকার সেটিকে আটকে রেখেছে। মমতা ব্যানার্জি বলেছেন। তিনি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট বাংলার বাড়ি এর জন্য কেন্দ্র সরকার অর্থ প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যারা আইটিআই এবং পলিটেকনিক করেছে তাদের জন্য সামনে রয়েছে বিরাট সুযোগ তারা পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো নামিদামি কোম্পানিগুলিতে কাজের সুযোগ পাবেন আগামী কিছু সময়ের মধ্যে।
এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।