কনডম নিয়ে গবেষকদের এক নতুন গোপন তথ্য প্রকাশ

Condom addiction news

হুড়মুড়িয়ে কনডম বিক্রি হচ্ছে দুর্গাপুরে শহরের সিটি সেন্টার বিধান নগর এলাকার। যারা কিনছে বেশিরভাগই কম বয়সী ছেলেরা। কেউ কেউ কলেজে সদ্দ ভর্তি হয়েছে অথবা কেউ কেউ নতুন কর্মজীবী। প্রত্যেকেরই এখন একটাই নেশা কনডম ধোয়া জল। দোকানের ফ্লেভার কনডম আসতে না আসতেই শেষ সমস্ত প্যাকেট। কিন্তু কেন? কেন তরতরিয়ে বাজছে কনডমের চাহিদা।

কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে নেশার একটা তুমুল ইচ্ছা জাগে যখন তারা কলেজে ভর্তি হয়,  কিছু পরোয়া থাকে যারা এই সবে ইচ্ছুক নয় কিন্তু তাদের উপরে অনেক রকম প্রেসার হয় সেটা হয়তো আপনারা জানেন। 

গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে এক অদ্ভুত তথ্য। ফ্লেভার কনডম যেগুলো কিনতে পাওয়া যায়, ঐ কনডম গরম জলে ভিজিয়ে রাখলে পরের দিন সেই জল মাদকদ্রব্যে পরিণত হয়। এই জল খেয়েই নেশা করছেন কম বয়সী ছেলেরা। কনডমের মধ্যে যে সুগন্ধি রয়েছে (অ্যারোমেটিক পাউডার) সেটি বিক্রিয়া করে অ্যালকোহলে পরিণত হয়। ডেনড্রাইট এ যে অ্যারোমেটিক পদার্থের জন্য   নেশা হয়। সেরকমই কনডম দোয়া জলে এখন নেশা হয়। এই বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছেন দুর্গাপুর আরি ই কলেজ মডেল স্কুলের রসায়ন শিক্ষক নজরুল হক। তিনি গবেষণা করেছেন দীর্ঘ সময়ের জন্য গরম জলের কনডমকে ভিজিয়ে রাখার পর জৈব অণু ভেঙে আলকোহলের পরিণত হয়।

গণমাধ্যমে জানা গেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এক দোকানদার লক্ষ্য করেন দুটি ছেলে রোজ প্যাকেট প্যাকেট কনডম কিনে নিয়ে যায়। একদিন আগ্রহ তে দোকানদার জিজ্ঞেস করেই ফেলে যে এত কনডম নিয়ে তারা কি করে? উত্তরটি শুনলে তিনিও হতবাক হয়ে যায়। উত্তরে আসে কনডম দিয়ে নাকি নেশা করে। গরম জলে কনডম কে ভিজিয়ে রাখলে অ্যালকোহল পরিণত হয় তারপর তারা সেটিকে পান করে। দুর্গাপুরের বিধান নগর এলাকার ওষুধের দোকানগুলিতে বছরের পড়ে থাকা কনডম এক নিমেষে ই খালি হয়ে যায় বেশ কয়েকদিন ধরে। বিধান নগরের এক ওষুধ দোকানের বিক্রেতা সুজন পোদ্দার সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন এই কলেজ পড়ুয়ারা তাকে একটি কোড দেখায় তারপর তিনি তাদেরকে কনডম দিয়ে দিতেন কিন্তু কেন তারা কোড ওয়ার্ড ইউজ করতেন সেটা সম্পর্কে তিনি প্রথমে জানতেন না। তারপরে এই নেশার বিষয়টি পরে আম জানতে পারা যায়। 

এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।

Leave a Comment