ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ও ঘরোয়া চিকিৎসা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ও ঘরোয়া চিকিৎসা
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ও ঘরোয়া চিকিৎসা

বর্তমানে আতঙ্কের আরেক নাম ডেঙ্গু। কিছুদিন ধরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছে প্রচুর সাধারণ মানুষ সহ সেলিব্রিটিরাও। কিছুদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল মহারাজা পত্নী ডোনা গাঙ্গুলী। আজ আমরা যেনে নেবো ডেঙ্গু কিভাবে ছড়ায় এবং এর লক্ষণ এবং প্রতিকারগুলি।

ডেঙ্গু জ্বর কী এবং তা কিভাবে ছড়ায়?

ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস ছড়ায় এডিস ইজিপ্টাই নামক মশা। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি এক সপ্তাহের মধ্যেই ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হণ। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মধ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।

ডেঙ্গুর রোগের লক্ষণ গুলি কি কি ?

ডেঙ্গু হলে শরীরে ৯২ থেকে ১০৬ ডিগ্রী অবধি জ্বর থাকতে পারে। গা-হাত ও ব্যথায় তীব্র ব্যথা চোখের পিছনে পুরো শরীরে র‌্যাশ ওঠা অথবা লালচে দানাহওয়া এগুলি প্রধান লক্ষণ এর মধ্যে পড়ে। রোগীর খাবারে অনিহা ডায়রিয়া বমি বমি ভাব গলা ব্যথা ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া এগুলিও ডেঙ্গুর লক্ষণ বটে। ডেঙ্গির মশা কামড়ানোর তিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই আমরা শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে দু-তিন দিনের বেশি জ্বর হলেই ডাক্তারের পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজনীয়।

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা:

ডেঙ্গির কারণে জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ছাড়া অন্য কোন ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথার কারণে অনেকেই ব্যথার ওষুধ খাওয়ার কথা ভাবেন, এটি আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ ব্যাথার ওষুধ আপনার রক্তক্ষরণ হতে পারে যার ফলাফল হিসাবে হতে পারে আপনার মৃত্যু।

ডেঙ্গি হলে আপনি বেশি পরিমাণে তরল খাবার খেতে পারেন। যেমন: নুন চিনির জল, ডাবের জল, চিকেন স্ট্রু , ফলের রস ইত্যাদি। তরল জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে ৯০% ডেঙ্গুর প্রকোপ কমায়। ক্ষমতা বাড়াতে প্রোটিন খাদ্যের সংখ্যা আরো বেশি পরিমাণে বাড়াতে হবে। ডিম ডাল মাছ মাংস এগুলি খাদ্য তালিকায় আরো বেশি করে যোগ করতে হবে।

পেঁপে পাতার রস সেবনে প্লাটিলেট বাড়ে-যদিও এ কথার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ডাক্তারেরা, উল্টে নাকি এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও তৈরি করতে পারে।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার:

ডেঙ্গিভ্যাকসিয়া (Dengvaxia)  নামক একটি ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন রয়েছে , তবে এটি আদৌ লাভ-দায়ক কিনা তার প্রমাণ না থাকায় এটি ভারতে উপলব্ধ নয়। ৯ বছর বয়স থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো ব্যক্তিকে তিনটি ডোজ এর মাধ্যমে দেওয়া হয়। সে কারণে আমাদের কাছে উপায় বলতে একটাই ডেঙ্গির কারণ গুলোকে প্রতিরোধ করা। আশেপাশে কোন জায়গায় জল জমতে না দেওয়া, আশেপাশে কোন এমন জায়গায় রয়েছে যেখানে জল জমতে পারে সেই জায়গা পরিষ্কার রাখা, এবং মশা কামড়ানোর হাত থেকে দূরে থাকা।

এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।

Telegram Channel যুক্ত হতেএখানে ক্লিক করুন
Google News যুক্ত হতেএখানে ক্লিক করুন