
ড্রোন হামলার মাধ্যমে দীর্ঘ ১১ বছর পর আমেরিকা প্রতিশোধ নিলো। 1981 সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল- সাদাত কে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আয়মান অল-জাওয়াহিরিকে। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন একজন চোখের ডাক্তার। মে মাসে ২০১১ সালে পাকিস্তানের অবটাবাদে মার্কিন সেনা ও ন্যাটোর অভিযানে লাদেনকে শেষ করা হয়। লাদেনের মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরী হিসেবে আয়মান অল-জাওয়াহিরি নিযুক্ত হয়। ক্রমে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলে। তার উদ্যোগে গড়ে ওঠে মিশরীয় ইসলামিক জিহাদ নামে একটি সংগঠন।
কিভাবে জঙ্গি সংস্থার লিডার হয়ে ওঠে?
পড়াশোনা শেষ করার পর আয়মান অল-জাওয়াহিরি একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। এর সূত্র থেকেই তিনি মিশরের ইসলামিক চরমপন্থী দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান।
1973 সালে ইজিপ্টে ইসলামিক জিহাদ প্রতিষ্ঠা করা হয় তিনি সেটাতে যোগ দেয়।
1981 সালে ইসলামিক জিহাদের সেনাবাহিনীর পোশাক পরিধান করে ইজিপ্টের প্রেসিডেন্ট কে হত্যা করেন। এই ঘটনায় সন্দেহ করে কয়েকজন সদস্য সহ জাওয়াহিরি কে আটক করা হয়।
প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত একটি শান্তি চুক্তি ঘোষণা করেন ইসরাইলের সাথে। এরপরে ইসলামিক চরমপন্থী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এর হত্যাকান্ড ও বেআইনি অস্ত্রপাচারকে কেন্দ্র করে জাওয়াহিরি তিন বছরের জেল হয়। কারাগারে থাকাকালীন জাওয়াহিরি কে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করা হতো। এই নির্যাতনের কারনে এক হিংস্র জঙ্গিতে পরিণত হয়।
1999 সালে মিশরের সরকার তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর থেকেই তিনি যাযাবরের মত ঘুরে বেড়াতে।
মিশরের কারাগারে থাকাকালীনআয়মান অল-জাওয়াহিরি বলেছিলেন “আমরা অনেক জান কবুল করেছি দরকারে আরও জান কুরবান করে দেব, যতক্ষণ না ইসলামের ফতে হবে, ততদিন আমাদের জেহাদ চলবে”। তার এই উচ্চকণ্ঠের ঘোষণা জঙ্গি দলের স্লোগান হয়ে ওঠে। এরপরেও মামলায় অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি। বেআইনি অস্ত্র পাচারের জন্য তিন বছর জেল খাটতে হয়েছিল তাকে। জেল থেকে ছাড়া পাবার পরেই চলে আসেন পাকিস্তান আফগানিস্তানের একটি সীমান্তে।
1981 সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল- সাদাত কে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আয়মান অল-জাওয়াহিরিকে।
1995 সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের উপর হামলা করেন। তারপর থেকেই মিশরের সরকার জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর তুমুল হামলা করে ইসলামাবাদ স্ট্রিত জঙ্গিদের দূতাবাসকে উড়িয়ে দেওয়া হয়,16 জনের মৃত্যু ঘটে।1999 সালে মিশরের সরকার তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর থেকেই তিনি যাযাবরের মত ঘুরে বেড়াতে।
লাদেনের মৃত্যুর পর তার পদে বসেনআয়মান অল-জাওয়াহিরি। এরপর 1998 সালে আমেরিকায় হামলা করেন। তিন বছর পর আমেরিকায় 9/11 এক ভয়াবহ হামলা ঘটায়। এর আয়মান অল-জাওয়াহিরি এর বড়সড় হাত ছিল। 9/11 হামলার বড়সড় জৈব হামলার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আফগানিস্তানের ল্যাবরেটরীতে তৈরি করা হয়েছিল জাওয়াহিরি। এরপর অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 9/11 হামলার পর জাওয়াহিরি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পাল্টা আমেরিকার হামলায় জাওয়াহিরি সহ জঙ্গিদের ঘাঁটি বাড়ি সব ধ্বংস করে দেওয়া হয়। 2006 ও 2008 সালে বাসস্থানের খোঁজ লাগিয়ে আমেরিকা হামলা করলেও সফল হয়নি।
আমেরিকা গুপ্ত দুতের দীর্ঘদিন ধরে খোঁজ চালাচ্ছিলেন আয়মান অল-জাওয়াহিরি এর। এরপর হদিশ পেয়ে বাইডেনের এই দেশ অতর্কিতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে পুরোপুরিভাবে শেষ করলেন আয়মান অল-জাওয়াহিরিকে। কাবুলে দীর্ঘদিন ধরে গুপ্ত ঘাঁটিগেরে বসে ছিলেন এই প্রখ্যাত জঙ্গি। দীর্ঘ ১১ বছর পর আমেরিকা তার প্রতিশোধ নিতে সফল হলো।
- গর্ভাবস্থায় মায়েদের কি কি মেনে চলা উচিত?
- Social Welfare Recruitment 2022
- National Scholarship এ আবেদন করলে আপনিও পাবেন 20000 টাকা
এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।