সুন্দরিনী প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের উন্নতির স্বার্থে অনেকগুলি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরিনী প্রকল্প চালু করার কথা বলেছিলেন ২০১৫ সালে, বিভিন্ন সমস্যার কারণে সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এবছর এই প্রকল্পটি কার্যকর করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সুন্দরবন এলাকার মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের আর্থিক উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইনে ঘি, মাখন এবং মিষ্টি পশ্চিমবঙ্গের যে কোন প্রান্ত থেকে ঘরে বসে অর্ডার করতে পারবেন।
আর্থিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অগ্রগতির পথ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সরকার। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বৃদ্ধদের জন্য ভাতা, লক্ষী ভান্ডার, কৃষক বন্ধু, দুয়ারের রেশন প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন। এবারে মুখ্যমন্ত্রী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন দুয়ারে খাঁটি দুধ পৌঁছে দেওয়ার।
বাজারে প্লাস্টিকের প্যাকেট যা তো দুধ কিনতে পাওয়া যায় আবার গ্রাম গঞ্জের মানুষ সরাসরি গোয়ালার কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে। এই প্লাস্টিক যত দুধ কে আমরা অনেকেই সুষম খাদ্য হিসাবে গণ্য করি না, আমরা অনেকেই মনে করি এই দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় না, তাই কিছুটা সংশয় থেকে যায়। কিন্তু উপায় না পেয়ে এই দুধকেই আমরা প্রত্যেকদিন সংগ্রহ করি। এবারে মুখ্যমন্ত্রী বড় একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যেটি হলো সুন্দরিনী প্রকল্প।
আরও পরুনঃ
- ভোটার কার্ড নিয়ে বড় ঘোষণা: ১৭ বছরেরই পেয়ে যাবেন ভোটের কার্ড
- জোড়া কুসুম ডিমের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো?
সুন্দরবনের প্রায় ১৫ টি ব্লকে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে। সুন্দরবন থেকে খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে সরাসরি ট্রাংকে সংগ্রহ করে ,সেখান থেকে কাচের বোতলে করে এই খাঁটি দুধ সরবরাহ করা হবে।
এই প্রকল্পে নজর রাখা হবে গরুগুলিকে সবুজ ঘাস ও রাসায়নিক মুক্ত খাবার খাওয়ানো হবে। দুধ সংগ্রহ করার সময় দুধের ঘনত্ব পরিমাপ করার জন্য একটি বিশেষ মেশিনের সাহায্য নেয়া হবে, যাতে দুধের গুণগত মান নষ্ট না হয় এবং দুধে জল না মেশাতে পারে।
হাওড়া স্টেশন এবং সেইসঙ্গে ১১ টি আউটলেটে এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে, যেখানে পাওয়া যাবে খাঁটি গরুর দুধ। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও সুন্দরিনী প্রকল্পের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অম্বিকাপ্রসাদ মিশ্র এই প্রকল্পের প্রতি বিশেষ নজর রেখেছেন। দুধ সংগ্রহ করার জন্য যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি বিদ্যুৎ ছাড়াও ৬ ঘন্টা দুধ কে ভালো রাখবে।
মনে করা হচ্ছে এই প্রকল্প কার্যকর হলে অবশ্যই সুন্দরবন এলাকার মানুষের উন্নতি ঘটবে, সাথে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে খাঁটি গরুর দুধ পৌঁছে যাবে।
এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।
Telegram Channel | এখানে ক্লিক করুন |
Facebook Page | এখানে ক্লিক করুন |
এখানে ক্লিক করুন | |
Koo | এখানে ক্লিক করুন |
Google News | এখানে ক্লিক করুন |