যৌবন ধরে রাখার সহজ উপায় | Keep your youth simply

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ও অন্যান্য শারীরিক কারণে আমাদের যৌবন ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে, কিছু সহজ উপায়ে আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, চলুন দেখে নেই দীর্ঘ সময়ের জন্য আমরা কিভাবে আমাদের উজ্জ্বল টানটান স্কিন ধরে রাখতে পারব । 

আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের ত্বকের ওপর বার্ধক্যের ছাপ এড়াতে এবং অনেকেই আছে যারা যৌবন  ধরে রেখে  সকলের কাছে প্রশংসিত হয়, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি  আপনার ত্বকের যৌবন বেশি দিনের  জন্য ধরে রাখতে পারবেন এবং আপনিও প্রত্যেকের কাছে প্রশংসিত  হবেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার যেগুলো আমাদের শরীরের টক্সিন বের করতে স্কিনকে উজ্জ্বল টানটান করতে সাহায্য করে। ছেলে মেয়ে উভয়েই আমরা এখান থেকে উপকার পেতে পারি। চলুন দেখে নেই টিপস গুলি__

আমরা চেষ্টা করি খুবই অল্প সময়ের মাধ্যমে আমাদের স্কিন উজ্জ্বল হোক ও মসৃণ থাকুক যার জন্য আমরা অনেক কেমিক্যাল মিশ্রিত কসমেটিক্স  ও মেকআপ ব্যবহার করি,  কিন্তু কেমিক্যাল মিশ্রিত প্রোডাক্ট গুলি আমাদের স্কিনকে অল্পসময়ের জন্য সুন্দর দেখালেও ভিতর থেকে নষ্ট করতে থাকে। 

 একটা কথা হয়তো আপনি নিশ্চয়ই জানবেন মাথার চুল কে মজবুত করতে গেলে বলা হয় ভিতর থেকে মজবুত ঠিক সেরকমই আমাদের চামড়া অর্থাৎ স্কিনকে সুন্দর ও মসৃণ করতে গেলে আমাদের ভিতর থেকে মসৃণ ও সুন্দর করা উচিত।  ভেতর থেকে সুন্দর ও মসৃণ করা এর অর্থ সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ করার ও নিয়মিত ব্যায়াম  ও যোগা করার। 

আসুন দেখে নিন খাদ্যের  মধ্যে কি কি গুন থাকলে আপনারা উপকৃত হবেন?

ফুড: 

ভিটামিন সি যুক্ত খাবার, যেমন – লেবু, পেয়ারা, তেতুল, টমেটো প্রভৃতি

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার, যেমন- গ্রিন টি, সোয়াবিন, মিষ্টি কুমড়ো, মসুর ডাল, রসুন প্রভৃতি

ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি এসিড, যেমন- বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, ইলিশ মাছ, স্যামন, টুনা, রুই, পমপ্লেটএমনকি ঝিনুকের মাংস ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়।

উদ্ভিদ  উৎস- কুমড়োর বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড, আখরোট, চিনাবাদাম , সরিষা, ক্যানেলা তেল ইত্যাদি।

প্রোটিন: মাছ, মাংস ,ডিম বিভিন্ন ডাল জাতীয় খাবার, কাজুবাদাম, পনির, ওটস, দুধ, গ্রিক দই, ব্রোকলি, টুনা মাছ, চিংড়ি প্রভৃতি।

Related articles: জলে থাকাকালীন আপনাদের হাতের এবং পায়ের চামড়া কেন  কুঁচকে ওঠে? 

পরিচর্যা: 

আমাদের স্কিনের সবথেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অ্যালোভেরা,সেটা আমরা বাজার থেকে কিনে জেল  ব্যবহার করতে পারি বা আমরা যদি সরাসরি গাছ  থেকে ব্যবহার করি সেটাও অনেক বেশি ভালো কাজে দেবে , অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত জায়গায় সারা শরীরে আপনি ব্যবহার করতে পারেন, নিয়মিত গোলাপজল কটন এর মাধ্যমে স্কিনে লাগাতে পারেন।

ডিমের কুসুমের সাদা অংশ অনেক বেশি কার্যকরী,যেটা আমাদের স্কিনের কোলাজেন লেভেল ঠিক রাখতে ও স্কিনের তরুণ্য ফিরে পেতে সাহায্য করে, আমরা ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে যদি 10 থেকে 20 মিনিটের জন্য ফেসপ্যাক হিসেবে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলি তাহলে এটা আমাদের স্কিনকে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে ও টানটান করে।

জাপানের মেয়েরা স্কিন সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন, এবং আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাব তারা  প্রত্যেকেই খুব সুন্দর ভাবে তাদের তরুণ্য ধরে রাখে।

 সাধারণত গরম জলে স্নান করার সময় নিজেদের শরীরের লোম কোষগুলো গুলো খুলে যায়, তখন তার ওপর মাসাজ করতে থাকে এর সাহায্যে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বৃদ্ধি পায় ।

Read More: Yoga বা যোগব্যায়াম আমাদের শরীরে কত রকম ভাবে উপকার করতে পারে?

 সানস্ক্রিনের ব্যবহার:

আমরা সকলেই জানি সানস্ক্রিম আমাদের কাছে কতটা প্রয়োজনীয়, সূর্যের UV- রশ্মি থেকে বাঁচার জন্য আমরা সানস্ক্রিন ব্যবহার করি, সানস্ক্রিম শুধু আমাদের সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে না এটা আমাদের শরীরের বয়সের ছাপ কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য  করেই না বরং আমাদের ত্বককে ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়,তাই নিয়মিত সানস্ক্রিনের ব্যবহার আমাদের বাধ্য করছে, এবং  তাপকে এড়াতে সাহায্য করবে।

সিক্রেট টিপস: 

ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য চিনি, মধু আর কয়েক ফোটা গোলাপ জল,ত্বকে লাগিয়ে রাখুন 10 থেকে 15 মিনিটের জন্য, নিয়মিত ব্যবহার করে দেখুন এটার জাদু।

এছাড়াও ময়েশ্চারাইজার  ক্রিম এর ব্যবহার, ফেসপ্যাক লাগানো, শরীরচর্চা, ইয়োগা করা,নিয়মিত  ব্যায়াম অভ্যাস এর মাধ্যমে, আমরা নিজেরাও সুস্থ থাকতে পারি এবং আমাদের রূপ ও লাবণ্য ধরে রাখতে পারব।

নতুন খবর এবং টেকনিকাল খেলাধুলা জ্ঞান মূলক তথ্য জানতে হলে আমাদের নোটিফিকেশন বেলটি Allow করতে ভুলবেন না এবং আমাদের সাথে জুড়ে থাকবেন।

Leave a Comment