5G internet ব্যবহার করতে গেলে প্রথমত আপনার কাছে একটি 5G ফোন এর প্রয়োজন। কিন্তু আপনার কাছে ফাইভ-জি ফোন হওয়া সত্ত্বেও আপনি 5G ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না। এর পিছনে রয়েছে অনেকগুলো কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভারতবর্ষে কিছুদিন আগে JIO এবং Airtel প্রায় কিছুদিনের ব্যবধানে 5G লঞ্চ করেছিল। Airtel Network কিছু এরিয়ার মধ্যে রয়েছে এবং JIO কিছু আলাদা এরিয়ার মধ্যে রয়েছে। দুটো নেটওয়ার্ক আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল 1GBPS এর ওপরে স্পিড দিতে সক্ষম এই 5G network. বাস্তবে ফাইভ-জি কানেকশনের টাওয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ 600 থেকে 700 MBPS এর স্পিড পাওয়া যাচ্ছে।

5G internet কিভাবে ফোনে চালু করবেন?
সর্বপ্রথমে আপনার কাছে একটি 5G internet সাপোর্টেড ফোন দরকার। আপনাকে প্রথমে ফোনের সেটিং ওপেন করতে হবে> নেটওয়ার্ক এন্ড ইন্টারনেট অপশনে ক্লিক করতে হবে> সিম কার্ড এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক অপশনে ক্লিক করবেন> আপনার ফোনে দুটো সিম থাকলে, 1st slot নাম্বারটিতে 5G অন করতে পারবেন> নেটওয়ার্ক প্রিফারেন্স অপশনে ক্লিক করে আপনার কাছে 5G অপশনটি শো করবে> ফাইভ-জি অপশনে ক্লিক করে দেবেন।
একেকটি ফোনে এক এক রকম শব্দ দেখাতে পারে কিন্তু সাধারণত MI,Opppo, Vivo, IQOO কোম্পানী গুলির ফোনে এইরকম অপশন দেখায়। যদি আপনার কাছে, Apple, Samsung, Google Pixel এই কোম্পানির ফোনগুলি থাকে তবে চিন্তার কোন কারণ নেই সফটওয়্যার আপডেট এর মাধ্যমে আপনার ফোনে কিছুদিনের মধ্যে 5G ইন্টারনেট চালু হয়ে যাবে।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় 5G internet ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে বর্তমানে লঞ্চ হওয়া 5G ইন্টারনেট এরিয়ার মধ্যে থাকতে হবে, নিচে ম্যাপের মধ্যে দেওয়া থাকল, কোন কোন এরিয়াতে 5G ইন্টারনেট সম্পূর্ণভাবে চালু হয়েছে।

5g ইন্টারনেট ব্যবহার এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা:
5G internet pros and cons:
5G internet pros:
- 5G ইন্টারনেটের স্পিড 4G এর তুলনায় প্রায় 200 থেকে 300 গুণ বেশি।
- 5G ইন্টারনেট কোনভাবে পরিবেশকে ক্ষতি করে না।
- 5G internet এর কারনে ভবিষ্যৎ সময় চিকিৎসা জগত আরো উন্নত হতে চলেছে, হাজার কিলোমিটার দূরে কোন ডাক্তার থেকেও ফাইভ-জি ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো অপারেশনের ইনস্ট্রাকশন দিয়ে সক্ষম করতে পারবেন।
- 5G internet letency এর মাত্রা 4g ইন্টারনেট এর তুলনায় 10 গুণ কমে যাবে, 4g ইন্টারনেট এর পরিমাণ ছিল 40 থেকে 50 মিলি সেকেন্ড কিন্তু এখন সেটি হয়ে দাঁড়াবে 2 থেকে 3 মিলি সেকেন্ড।
- ভিডিও কল এখনো হয় ভবিষ্যতে হবে কিন্তু খারাপ ইন্টারনেটের কারনে অনেক দরকারি কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায় সেটি সম্ভব হবে খুবই উন্নত ভাবে 5G ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
- 5G internet মাধ্যমে ভি আর বক্স এর শুরু হবে।
- 5G ইন্টারনেটের মাধ্যমে গেমিং ইন্ডাস্ট্রি আরও উন্নতি পাবে কারণ গেম এর মধ্যে লেটেন্সি পরিমাণ প্রায় 10 থেকে 12 গুণ কমে যাবে।
- 5G internet এর মাধ্যমে আরও অনেক ভালো দিখ খুঁজে পাওয়া যাবে, ভারতবর্ষের পুরো সব জায়গায় 5G ইন্টারনেট উপলব্ধ না হওয়ায় আমরা খুঁজে পাচ্ছিনা।
5G internet Cons:
- ভারতবর্ষের সবে মাত্র 5G internet লঞ্চ হয়েছে ফলে এর এরিয়া কভারেজ একদমই ভালো নয়।
- 5G internet টাওয়ার থেকে একটু দূরে সরে গেলে স্পিড এর অনেক তফাৎ খুঁজে পাওয়া যায়।
- আমাদের ফোনে ইন্টারনেট একসেস করার সময় আমাদের ফোন একটু হলেও বেশি গরম হয়।
- 5G ইন্টারনেট কিছু নেট ব্যান্ড সাপোর্ট করছে।, আপনার ফোন যদি সেই ব্যান্ড কে সাপোর্ট না করে তবে আপনি 5G ইন্টারনেট উপলব্ধি করতে পারবেন না।
- 5G internet band list:
- 700MHz- n28, 800MHz- n5, 900MHz- n8; mid bands of 1800MHz- n3, 2100MHz- n1,2500MHz- n41, (3300 – 3800MHz)- n78, (3300 – 4200MHz)- n77 and High mm Bands of 26GHz (24.25 – 27.5 GHz)- n258.
- 5G internet ব্যবহার করবেন আপনি পাবেন তুখর ইন্টারনেট স্পিড কিন্তু এর জন্য আলাদা কোন সিম এবং নেটওয়ার্ক প্লান রিচার্জ করার প্রয়োজন নেই। তবে মাত্র 1 GB অথবা 1.5 GB প্লানে 5g ইন্টারনেট ব্যবহার করলে এক ঘন্টা থেকে দু’ঘণ্টা চলতে সক্ষম।
এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।
Telegram Channel যুক্ত হতে | এখানে ক্লিক করুন |
Google News যুক্ত হতে | এখানে ক্লিক করুন |