স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা 2022 | Independence Day speech in Bengali

Independence Day
source: indian express

স্বাধীনতা দিবস: স্বাধীনতা কথাটির অর্থ  ”স্ব – অধীনতা” । প্রাণী থেকে মানুষ সবাই থাকতে চায় নিজের স্বাধীনতাতে। বর্তমানে মানুষ এখন স্বাধীনভাবে জীবন কাটাচ্ছে কারণ আমাদের পূর্বপুরুষরা এই স্বাধীনতা ব্রিটিশদের হাত থেকে ছিনিয়েছে। এটি আমাদের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা তা নিয়ে এক বিরাট ইতিহাস রয়েছে, যার পাতা গুনলে শেষ হবে না, কারণ 200 বছরের ইতিহাস আমরা কি করেই বা একটি বইয়ের পাতাতে লিখব?

হ্যাঁ সত্যি আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জনের গল্প প্রায় ২০০ বছরের। কখনোই আমরা এই ২০০ বছরের ইতিহাস একটি প্রতিবেদনে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সামনেই আসছে স্বাধীনতা দিবস, নেই বেশিদিন আর বাকি। 

স্বাধীনতা দিবসের কিছু বর্তমান রীতিনীতি:

আগস্ট মাস পড়লেই মনের মধ্যে একটি বড়দিনের কথা প্রত্যেক ভারতবর্ষের হৃদয়ে মনে পড়ে। স্বাধীনতা দিবস আগস্ট মাসের সবথেকে উজ্জ্বল একটি দিন। আজকের দিনেই ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমীরা লড়াই করে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রামের পরে ব্রিটিশদের হাত থেকে আমরা ভারতীয়রা স্বাধীনতা পাই। এই দিনটিকে উদযাপন করার জন্য আমাদের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু, প্রথম শপথ গ্রহণ করেছিলেন দিল্লির লাল কেল্লার লাহোর গেটের ওপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।

বর্তমান সময়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি, তিনিও এই দিনটি উদযাপনের জন্য একই জায়গায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন আগামী ১৫ই আগস্ট ২০২২। 

১৫ ই আগস্ট এই দিনটির উদযাপনের জন্য জাতীয় পতাকা উত্তোলন কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমাদের ছোটদের জন্য রয়েছে স্কুল অফিস কাচারি আদালত যে কোন জায়গাতেই দেওয়া হবে মিষ্টান্ন। আজকের দিনে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী সরকারি কর্মচারী তথা সমস্ত ভারতবাসীদের সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠে পতাকা উত্তোলনের সমাগমে যোগদান করা উচিত। 

স্বাধীনতা দিবসের কিছু ইতিহাস জেনে নিন: 

বর্তমান সময়ে আমরা স্বাধীনভাবে নিজ দেশে বসবাস করছি নিজ অধিকারে। এই স্বাধীনতার প্রধান কারণ হলো আমাদের ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশপ্রেমীদের অগাধ পরিশ্রম ও দেশপ্রেম। 

ব্রিটিশ শাসন ভারতে এসেছিল ১৭ শতাব্দীতে, ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে কিন্তু সেটি হয়ে দাঁড়ায় শাসন থেকে শোষণ। আমাদের পূর্বপুরুষ নিপীড়িত অত্যাচারিত হয়েছিল সেই ব্রিটিশদের কাছে। ছল বল ও কৌশলে ব্রিটিশ দল আমাদের ভারতের উপর রাজত্ব করেছে লুটপাট করেছে বহু মা-বোনেদের সাথে সম্মানের ছিনিমিনি খেলেছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সামরিক বাহিনীর সাহায্যে ভারতের সমস্ত অধিকার সহস্তে নিয়ে নেয়। 

ব্রিটিশরা আমাদের সমস্তভাবে শোষণ করলেও আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দিয়ে গেছে। ব্রিটিশ এর মাধ্যমেই তখন থেকে শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের একটি দলের আবির্ভাব ঘটেছিল। সেই ব্রিটিশদের মাধ্যমেই কলকাতা তার পুরনো স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। এই ব্রিটিশদের মাধ্যমেই আমাদের ভারতে চালু হয়েছিল প্রথম রেল লাইন। 

ব্রিটিশ সরকারের সাধারণ ভারতীয়দের মনের ভিতর ধর্ম নিয়ে ও জাতপাত নিয়ে বিভাজনের সৃষ্টি করেছিল। ভারতবর্ষে যদি একত্র না হতে পারে তবে কি করেই বা এত বড় ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, সংগ্রাম করবে। অবশেষে অনেক দলনেতা যাদের আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়েছি, তাদের মাধ্যমে সংগঠিত বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা জাতিভেদ কে ছেড়ে একত্র হয়েছিল ভারতবাসীরা। 

অন্যতম কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম দেওয়া হল:

  • নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস
  • মহাত্মা গান্ধী
  • ক্ষুদিরাম বসু
  • বিনয়
  • বাদল
  • দীনেশ
  • সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল
  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
  • জহরলাল নেহেরু
  • লাল বাহাদুর শাস্ত্রী
  • ভগৎ সিং
  • সাবিত্রী বাই 
  • রানী লক্ষ্মীবাঈ
  • সরোজিনী নাইডু
  • কমলা নেহেরু

হয়তো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম উল্লেখ করা সম্ভব নয়। 

স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা:

অফিস কাচারি স্কুল কলেজ সব জায়গাতেই ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে উক্তি ও বক্তৃতা দেওয়ার জন্য অনেকেই তৈরি হচ্ছেন। নিচে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওয়া হল:

বক্তৃতা শুরু করার আগে একটি গান দিয়ে শুরু করবেন তবে সেটি দর্শকের কাছে খুবই আকর্ষিত হয়ে উঠবে। 

“বল বল বল সবে শত বীণা-বেণু-রবে 

ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ট আসন লবে 

ধর্মে মহান হবে কর্মে মহান হবে…

নব দিনমনি উদিবে আবার পুরাতন এ পুরবে। “

স্বাধীনতা কথার অর্থ হল  স্ধ – অধীনতা। আজকের দিন অর্থাৎ ১৫ ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা ব্রিটিশদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে। ভারতবর্ষের উপর লুটপাট বাণিজ্য করার নামে শাসন ও শোষণ ছিল ব্রিটিশদের। ব্রিটিশদের অধীনে ছিলাম আমরা ২০০ বছর। অত্যাচারিত হয়েছে আমাদের পূর্বপুরুষ, আমাদের সেই দিনের কথা কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত না। আগেকার দিনে ভারতকে একত্র হতে বাধা দিয়েছিল সেই ব্রিটিশরা কেন জাতিভেদ ও হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিবাদ তখন থেকেই দেখা গেছিল।

শেষ পর্যন্ত সেই ভেদাভেদ একত্র হয়েই ব্রিটিশের উপর চড়াও হয়েছে ভারতীয়রা এবং অর্জন করেছে স্বাধীনতা। কলকাতা ছিল ব্রিটিশদের প্রধান ঘাঁটি। এই কলকাতা থেকেই শুরু হয় দেশ প্রেমের আগুন। ব্রিটিশ অত্যাচারের প্রভাবে উঠে আসে অনেক স্বাধীনতার সংগ্রামী তাদের মধ্যে অন্যতম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, মহাত্মা গান্ধী, ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিং  ইত্যাদি। এই অন্যতম স্বাধীনতার সংগ্রামের মানুষদের জন্য একত্র হয়ে ওঠে ভারতীয়। 

এর থেকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জানতে পারি, একতাই বল বর্তমানে মানুষের মধ্যে জাতিভেদ হিন্দু-মুসলিমের দাঙ্গা দেখা যায় শোনা যায় কিন্তু একত্র থাকলে মানুষকে কোনভাবেই লড়তে হবে না। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের মনে রাখা উচিত স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য রক্ত জল করে বিদ্রোহ আন্দোলন চালিয়ে গেছে। 

আমাদের সেই বিদ্রোহ এখন চালাতে হয় না কারণ আমরা এখন স্বাধীন তবে অবশ্যই মনে রাখা উচিত আমাদের ভারতের জন্য আমাদের নিজস্ব কিছু দায়িত্ববোধ রয়েছে। আমার সাথে আপনারাও কথা দিন আজ থেকে ভারত বর্ষ আমরা পরিষ্কার রাখবো। এদিক ওদিকে নোংরা ফেলবো না। আই হীন মানুষের সাহায্য করবো, অবহেলিত প্রাণীদের সাহায্য করবো। 

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উক্তিঃ

সুভাষচন্দ্র বোসঃ  “একজন ব্যক্তি একটি ভাবনার জন্য প্রাণ দিতে পারে তবে সেই ভাবনা তার মৃত্যুর পরে হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে”

“আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”

বালগঙ্গাধর তিলকঃ “ স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার।  আমি তা নিয়েই ছাড়বো!!”

এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।

FAQ:

স্বাধীনতা দিবস ফটো

স্বাধীনতা দিবস পোস্টার

স্বাধীনতা দিবস রচনা

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

৭৫তম স্বাধীনতা দিবস

স্বাধীনতা দিবস ২০২২

স্বাধীনতা দিবস রচনা pdf

Leave a Comment