হাওড়া ব্রিজের কিছু গোপন রহস্য, জানলে অবাক হবেন

Howrah Bridge

হাওড়া ব্রিজ এমন একটি ব্রিজ যে ব্রিজটিতে কোন পিলার নেই।  এই ব্রিজটি শুধুমাত্র ২ ট ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ব্রিজ এর আরেক নাম রবীন্দ্র সেতু। এই ব্রিজের সাথে ব্রিটিশ ও ভারতের বড় একটি সম্পর্ক রয়েছে। এই ব্রিজ ভারতবর্ষ তথা কোলকাতা এর বিরাট ঐতিহ্যবাহী সম্পদ। বাইরে থেকে অনেক মানুষ আসে এই ব্রিজের দর্শন করতে আসে। কিন্তু আমাদের অর্থাৎ ভারতীয় দের এই সম্পদ এর জত্ন নেয়া উছিত, কারন দিনের পর দিন ব্রিজের অবস্থা খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এই ব্রিজ কোলকাতা এর মানুষ দের সাথে হাওড়া এর মানুষদের মিলিয়েছে। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এই ব্রিজের অপর দিয়ে যাতায়াত করে। প্রায় সবাই যাওয়ার সময় ডান দিক ও বা দিক দেখতে দেখতে, ও এখান থেকে এত সুন্দর হাওয়া চলাচল করে, আপনি না গেলে কখনই অনুভব করতে পারবেন না।

হাওড়া ব্রিজের নির্মাণকার্যঃ

এই হাওড়া ব্রিজ ১৮৭৪ সালে প্রথম ২২ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল। হাওড়া স্টেশন হওয়ার পর এই দুর্বল ভাসমানব্রীজ দিয়ে কোন কাজ না হওয়ায়। ১৯২২ সালে পাকাপাকিভাবে ব্রিজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই ব্রিজ তৈরি করতে ২৬, ৫০০ টন স্টিলের ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে টাটা কোম্পানি স্টিল বিনিয়োগ করে ২৩, ৫০০ টন। এই ব্রিজটি ছিল ব্রিটিশ আমলের ব্রিজ। তাই তাদের নির্দেশ অনুযায়ী এই ব্রিজ টিতে কোন পিলার করা যাবে না। এই ব্রিজে পিছনে ও মাঝে দু’চারটে খাম্বা রয়েছে। তাছাড়া বাকি অংশ প্রায় ঝুলেই রয়েছে। 280 ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট ব্রিজটি শুধুমাত্র হাওয়ায় ভেসে রয়েছে। এই ব্রিজটি 2313  ফিট লম্বা।

এই ব্রিজটি উদ্বোধনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার উদ্বোধন অনুষ্ঠান করা হয়নি। কারণ এই সময় চলছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জাপান সরকার এই ব্রিজের উপর বোমা ফেলার চেষ্টায় ছিল।  ১৯৬৫ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের নাম অনুযায়ী এই ব্রিজটি নামকরণ করা হয় রবীন্দ্র সেতু। তবে গুগলে সার্চ করলে এই ব্রিজের আরেক নাম বিদ্যাসাগর সেতু হিসেবেও জানা যায়। কিন্তু সাধারনত মানুষ হাওড়া ব্রিজ নামেই চেনে। 

হাওড়া ব্রিজের রহস্যঃ

তবে এটাও জানা যায় এই ব্রিজটি একটি চাবির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। পুরো ব্যাপারটি প্রমাণিত হয়নি কিন্তু অনেক পুরনো ফটোর মাধ্যমে দেখা যায় এই ব্রিজের নিচ থেকে যখন কোন বড় জাহাজ চলাফেরা করতো তখন একটি চাবির মাধ্যমে হাওড়া ব্রিজের মাঝ বরাবর খুলে উপরের দিকে নেওয়া যেত। শোনা যায় ব্রিটিশ সরকার আজও এই চাবিটি ভারতকে দেয়নি।  কিন্তু এর সত্যতা কতটা ঠিক জানা যায়নি।

বর্তমান সময়ে ব্রিজের প্রতি বছর ক্ষতি হতেই থাকছে। এর প্রধান কারণ আশেপাশের মানুষদের পান মশলা ও গুটকা খেয়ে থুতু ফেলা। নদীর জল এবং বৃষ্টির জল এই ব্রিজের ইস্পাতে জং ধরাতে পারেনি কিন্তু মানুষের এই কুকর্মের জন্য দিনের পর দিন ব্রিজের পিলার ও ইস্পাতে জং ধরতে শুরু করেছে। পুলিশ ৫০০ টাকা করে জরিমানা করে যাদেরকে এই অবস্থায় ব্রিজে দেখা যায়, কিন্তু পুলিশের হাতেই বা কতটা রয়েছে আমরা সাধারণ মানুষ যদি একটু আমাদের নিজস্ব সম্পদের উপর গুরুত্ব না দেখায় নিজেরাই যদি ধ্বংস করতে চায় তবে কে কাকে আটকাবে। পাখি ও পায়রা প্রত্যেক দিন এই ব্রিজের উপর মল ছড়িয়ে ব্রিজটাকে নোংরা করছে তার জন্য ব্রিজের অনেক ক্ষতি হয় এবং এর ফলে আলাদা করে প্রতি বছর ব্রিজ থেকে নতুন করে রং করতে হয়, যার জন্য খরচ হয় প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। 

এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।

Leave a Comment