Sunday হোক সুরক্ষিত | Stay out of the Sun

৩রা জুলাই, রবিবার।

প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত না হলে অফিস কাছারি ছোটার তাড়া নেই।ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল কলেজও বন্ধ।তবে আজ সূর্যদেবের তেজের কাছে নতি স্বীকার করে বাড়িতে থাকুন। না, একথা ব্যক্তিগত ভাবে বলা হচ্ছে না। আসলে আজ দিনটিই United States এর National stay out of the sun day.

National stay out of the Sunday

 প্রতিবছর এই দিনটি অর্থাৎ ৩রা জুলাই ছুটির দিন হিসেবে পালন করে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষজন। তবে এই দিনটি পালনের পিছনে অবশ্যই অনেকগুলি সুযুক্তি বিদ্যমান।

কতটা সূর্যালোক মানবদেহের প্রয়োজন? কেন প্রয়োজন?

পরিমিত সূর্যালোক মানবদেহের পক্ষে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যালোকের প্রভাবে মস্তিষ্কে যে রাসায়নিক উত্তেজিত হয় তা মানব দেহকে উৎসাহে পূর্ণ করে মস্তিষ্কের শান্ত সতেজ এবং একাগ্র করে।

এছাড়া অস্হির স্বাস্থ্যে, ডিপ্রেশন প্রতিরোধে ,ওজন বৃদ্ধি প্রতিরোধে  সূর্যালোকের প্রভাব বহুল আলোচিত। অভিজ্ঞদের মতে,5 থেকে 10 মিনিটের পর সূর্যালোক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।

অপরিমিত সূর্যালোক কী কী ভাবে মানব দেহের ক্ষতি করে?

১.মানবদেহ,ত্বক ,চোখ তথা পাকযন্ত্রে  সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আল্ট্রাভায়োলেট রে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

২.সূর্যের সংস্পর্শে আসা মানুষের ত্বকে বেশি পরিমাণে শুষ্কতা বলিরেখা চামড়া ঝুলে যাওয়ার মতো বার্ধক্যের ছাপ দেখা যেতে পারে।

৩. অত্যাধিক সূর্যের আলোর প্রভাবে স্ক্রিন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধি হওয়া অনিশ্চিত নয়।

৪. এমনকি মেঘলা দিনেও আপনার ত্বক সানবার্ন বা ট্যান আক্রান্ত হতে পারে ইউভি রেডিয়েশনের প্রভাবে।

কী এই ন্যাশনাল স্টে আউট অফ সানডে এবং কেন?

সূর্যালোকের এই সমস্ত ক্ষতিকর দিকগুলির কথা চিন্তা করেই United States সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিবছর আজকের দিনটি অর্থাৎ ৩রা জুলাই ন্যাশনাল স্টে আউট অফ সানডে হিসেবে পালন করার। উদ্দেশ্য রোজকার আমাদের দেহ ও ত্বকের সঙ্গে সূর্যালোকের প্রত্যক্ষ্য সংস্পর্শ থেকে বিরতি নেওয়া। তবে এর অবশ্য কোন শাস্তিযোগ্য আইন ধার্য নেই যে বাড়ি থেকে বের হলে‌ শাস্তি বা জরিমানা। তবে , কর্মক্লান্ত মানুষেরা রোদের হাত থেকে ত্বক বাঁচিয়ে একটা দিন চারদেয়ালের ভেতরে স্লো‌ লিভিং এর মজা নিতে অপছন্দ করেন না।

কীভাবে উপভোগ করতে পারেন আজকের দিন?

সপ্তাহজুড়ে কাজের চাপ এই প্রচণ্ড গরমে তাড়াহুড়ো করে অফিস কাছারি স্কুল-কলেজের ছোটার ব্যস্ততা থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে বসে মন দিতেই পারেন বইয়ের পাতায় টেলিভিশনের পর্দায় বা ওয়েব সিরিজ।

বাড়ির মজাদার খাদ্য ও পানীয়ের স্বাদ গ্রহণের সঙ্গে পূরণ করতে পারেন শব্দছক , কান রাখতে পারেন সুরের মূর্ছনায় অথবা নেচে উঠতে পারেন ছন্দে তালে। আর মুঠোফোনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে চোখ রাখার কথা তো বলাই বাহুল্য। সব মিলিয়ে এই গরমে  রোদ্দুরকে বাদ রেখে বাড়িতে বসেই কাটিয়ে ফেলতেই পারেন হ্যাপি সানডে।

Written by : Nita Dey

নতুন খবর এবং টেকনিকাল খেলাধুলা জ্ঞান মূলক তথ্য জানতে হলে আমাদের নোটিফিকেশন বেলটি Allow করতে ভুলবেন না এবং আমাদের সাথে জুড়ে থাকবেন।

Leave a Comment