কীভাবে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা আপনাদেরকে ঠকিয়ে যাচ্ছে

আপনি কি নিয়মিত পেট্রোল পাম্পে যান? কিন্তু জানেন কি সেখানে কিভাবে তেল চুরি হয় ? আপনারা অজান্তেই ঠকে যাচ্ছেন না তো? বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই প্রতিবেদনে। 

Petrol pump fraud

প্রায় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। গাড়ির তেল ভরতে ভরতে নিজেদের জমানো ভাড়ার শূন্য হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত মানুষদের। কিন্তু এই বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থায় যানবাহন মানুষের সাথে অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে গেছে এবং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আর এই যানবাহন চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি দরকার সেটি হল পেট্রোল বা ডিজেল। 

আর এই পেট্রোল বা ডিজেল ধরতে প্রত্যেককেই প্রতিদিন প্রায়-ই পেট্রোল পাম্পে যেতে হয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন আপনাদের কিছু অসাবধানতার কারণে প্রতিনিয়ত আপনাদের ঠকিয়ে যাচ্ছে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা ? 

কিভাবে ঠকাচ্ছে, কখনো লিটারে কারসাজি করে অথবা কখনো পেট্রলের সাথে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে। এভাবেই পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা আপনাদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে আর আপনারা নিজেদের অজান্তেই ঠকে যাচ্ছেন। 

যদি এই প্রতিনিয়ত ঠকে যাওয়া থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই এই সামান্য বিষয়টুকু কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে নিচে জানতে পারবেন। 

তাই অবশ্যই এই প্রতিবেদনটিকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন যেখানে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে এই প্রতারণার হাত থেকে আপনারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবেন এবং নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন।। 

#১

ধরুন আপনি পেট্রোল পাম্পে গিয়ে ৫০০ টাকার তেল ভরাবেন। পেট্রোল পাম্পের কর্মীর কাছে গিয়ে আপনারা এই ৫০০ টাকার তেল ভরানোর কথা বলতে তারা সেই কথাতে কান না দিয়ে ধরুন ২০০ টাকাতে অথবা ৩০০ টাকাতে রিডিং থামিয়ে দিলেন। তারপরে আপনি যখন আবার বললেন ৫০০ টাকার তেলের কথা তখন সেই কর্মীরা সেই রিডিং ডিলিট না করেই সেখানে আরো বাকি টাকা যোগ করে আপনাকে পেট্রোল ভরে দেবে। আপনারা হয়তো এখানে ভাববেন যে আপনাকে তারা ৫০০ টাকারই তেল ভরে দিয়েছে, কিন্তু এখানে লুকিয়ে রয়েছে কারসাজি এবং প্রতারণা।

এখানে কিন্তু রিডিং এ গোলমাল করে আপনাকে অনেক কম টাকার তেল দিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্পের কর্মীদেরকে বলবেন রিডিং ক্লিয়ার করে অথবা রিডিংটি মুছে আবার নতুন করে রিডিং এন্ট্রি করে তারপরে আপনাকে তেল দিতে। 

#২

উপরের প্রতারণা ছাড়াও আরো এক ধরনের বিষয় কিন্তু লক্ষ্য করা গিয়েছে যেটি হল অনেক ধরনের পেট্রোল পাম্পে এটা দেখা গিয়েছে যে তারা অনেক লম্বা পাইপের দ্বারা পেট্রোল অথবা ডিজেল দিয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে রিডিং মিটার যদি পুরোপুরি ঠিকও থাকে তাহলেও কিন্তু আপনাদের পেট্রোল বা ডিজেল সেই লম্বা পাইপের ভেতরে অনেকটাই থেকে যায়। 

এখানেই শুরু হয় আরেক কারসাজি। এইরকম ভাবে কিন্তু পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা আপনাদেরকে দিনের পর দিন ঠকিয়ে চলেছে। 

#৩

গাড়িতে তেল ভরার সময় যদি দেখেন পাম্পের কর্মচারী বারবার ফিলিং পাইপের সুইচ নামিয়ে দিচ্ছে সে ক্ষেত্রে কিন্তু এটাকে অবহেলা করবেন না। এভাবে বারবার ফিলিং পাইপের সুইচ নামিয়ে দিলে আপনি প্রতারিত হতে পারেন। তাই অবশ্যই কর্মচারীকে বলবেন যে তারা যেন ফিলিং পাইপের সুইচ নামিয়ে না নেয়।

#৪

অনেক সময় আবার পেট্রোল পাম্পের মিটারে চিপ লাগিয়ে চুরি করা হয়। ইলেকট্রনিক মিটারের গায়ে চিপ লাগিয়ে দিয়ে ইচ্ছামত মিটারের রিডিংকে কমিয়ে-বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের সন্দেহ হলেও আপনারা কিন্তু সেখানে কিছুই করতে পারবেন না। হ্যাঁ আপনারা এক লিটার দু লিটার তিন লিটারের যেসব বোতল রয়েছে সেই বোতলে করে মেপে নিতে পারবেন।

#৫

কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেট্রলের সাথে ন্যাফতা জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে ক্রেতাদেরকে ঠকায়। ন্যাপথা এবং পেট্রোলের ঘনত্ব একই রকম হওয়ায় এই কারসেজে কিন্তু কেউ ধরতে পারেনা। 

শুধু এই পদ্ধতিগুলিতেই নয় এছাড়াও আরো বিভিন্ন পদ্ধতিতে কিন্তু কর্মীরা ঠকাতে পারে। আর আপনারা যদি একটু সতর্ক থাকেন তাহলে কিন্তু এই সাধারণ প্রতারণা থেকে সহজেই বেরিয়ে আসতে পারবেন।

এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।

Leave a Comment