Cardiac Arrest: কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কি ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট লক্ষণ?

Cardiac Arrest
Cardiac Arrest

Cardiac Arrest: কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কথাটি সাধারণ মানুষের কাছে কিছুটা অপরিচিত হলেও বর্তমানে অনেক বেশি মানুষ সার্চ করছে। কিছুদিন আগে আমাদের মধ্যে থেকে হারিয়ে গেল বিখ্যাত গায়ক কে কে (KK), বর্তমানে ভারতের একজন নামিদামি কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব, যিনি মারা গেলেন হার্ট জনিত সমস্যার কারণে। আমাদের অনেক কাছের মানুষ যারা হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এর জন্য মারা যেতে পারে।

অনেক মানুষকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কে সাধারণ হার্ট অ্যাটাক ও হার্টফেল বলে জানে কিন্তু এই দুটির ভিতরে কিছু ব্যতিক্রমী ব্যাপার রয়েছে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কি রোগ? কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এর লক্ষণ কি কি সমস্ত কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কি? | What is Cardiac Arrest?

যেসব প্রকৃতির হার্টের প্রবলেম এবং হার্টফেল হার্টঅ্যাটাক দেখা গেছে, বেশিরভাগ তাদের মধ্যেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এর সম্ভাবনা থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলতে হঠাৎ করে হৃদপিন্ডের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া। হঠাৎ করে হৃদপিন্ডের চলাচল বন্ধ হওয়ায় মানবদেহের ব্রেনের মধ্যে অক্সিজেনের পৌঁছানো সম্ভব হয় না ফলে রোগীর ব্রেন মৃত অবস্থায় চলে যায়।

সাধারণত যাদের হার্ট অ্যাটাক এর সম্মুখীন হতে হয়েছে বেশিরভাগ সময় তাদের শরীরের ধমনীতে রক্ত চলাচলের রাস্তা কিছুটা হলেও কম হয়ে যায়, কিন্তু বেনিয়ম যেমন সঠিক খাবার না খাওয়া হাঁটাচলা না করা ঠিক সময়ে না ঘুমানো এইসব কারণে রক্তের প্রেসার বৃদ্ধি পাওয়া ফলে ধমনী সংকুচিত হয়ে যায়। ধমনী সংকুচিত হয়ে গেলে হৃদপিন্ডে সঠিক পরিমাণ রক্তের আদান-প্রদান হতে পারে না এবং হঠাৎ করে হৃদপিণ্ড চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক এর ক্ষেত্রে হাট চলতে থাকে তার নিয়মমাফিক চলাচলের বাইরে, সেই ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক এর মত ভয়ঙ্কর পর্যায়ের সম্মুখীন হতে হয় না।

এটি অনেক সময় হৃদপিণ্ডের স্পন্দন এর বৈদ্যুতিক নিয়ম পরিবর্তন হওয়ার কারণে এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বেশিরভাগ তাদেরই হয় যারা বর্তমানে হার্ট অ্যাটাক এ ভুগেছেন। সাধারণ মানুষ হার্ট অ্যাটাককে সামনে নিতে পারে কিন্তু কার্ডিয়াক এরেস্ট আসলে সেটি সামলানো মানবদেহের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট লক্ষণ কি কি?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এর কিছু লক্ষণ:

  • হঠাৎ করে মাটিতে পড়ে যাওয়া
  • ধমনীর স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • হঠাৎ করে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • শরীরে কোনরকম চেতনা না থাকা

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে থেকে কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে মানব শরীরে সেগুলি হল:

  • নিশ্বাস নিতে অসুবিধা
  • বুকের মধ্যে অস্বস্তি
  • দুর্বলতা
  • অত্যাধিক তাড়াতাড়ি হৃদস্পন্দন

হার্ট অ্যাটাক হলে কি করবেন?

আপনার যখনই বুকে সমস্যা হবে, আপনি যদি না বুঝতে পারেন এটি হার্ট অ্যাটাক বা অন্য কোন সমস্যা সময় নষ্ট করবেন না সোজা ফোন করবেন ৯১১ নাম্বারে অথবা আপনার কাছাকাছি কোন হসপিটালে র অ্যাম্বুলেন্সে। হার্ট চলাচল করতে ব্যর্থ হলেও EMC প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইলেকট্রিক শক দিয়ে হার্টকে আবার চালনা করা যায়।

Cardiac Arrest | কার্ডিয়াক এরেস্ট হলে কি করবেন?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এর সম্মুখীন হতে হলে বেশিরভাগ সময় হসপিটাল পর্যন্ত পৌঁছানো যায় না তার আগেই রোগী মারা যেতে পারে। কিছু মিনিটের মধ্যে ট্রিটমেন্ট শুরু করা গেলে রোগী বেঁচে যেতেও পারে। কিন্তু রোগীর বাড়ির লোকজন দের জেনে রাখা দরকার এই রোগের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা আপনি নিজেও করতে পারবেন।
CPR (Cardiopulmonary resuscitation) এর মাধ্যমে আপনি রোগীকে বাঁচিয়ে তুলতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে তার বুকের ওপরে দুটো হাত জড়ো করে, হৃদপিন্ডের উপর প্রেসার করতে হবে বারবার এবং সাথে মুখের মধ্যে হাওয়া দিতে হবে সেই প্রেসারে হৃৎপিণ্ড আবার হঠাৎ করে চলা শুরু করতে পারে।

  1. আপনি কিভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট চিনবেন?

    ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG বা EKG) নামক একটি হার্ট ইমেজিং পরীক্ষা একটি গুরুতর ভেন্ট্রিকুলার অ্যারিথমিয়া বা হার্টবিট একেবারেই দেখাবে না। এগুলো সবই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ

  2. কাদের সব থেকে বেশি সংশয় থাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টর?

    বয়সের সাথে সাথে আপনার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়ে। এটি 30 বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে বিরল। অল্প বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে, প্রধান ঝুঁকির কারণগুলি হল জেনেটিক অ্যারিথমিয়াস, হার্ট বা করোনারি ধমনীর গঠনের সমস্যা, হার্টের প্রদাহ এবং পদার্থের ব্যবহার।

  3. আমি কিভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করতে পারি?

    ঘটনার দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে সিপিআর এবং একটি স্বয়ংক্রিয় বহিরাগত ডিফিব্রিলেটর (AED) ব্যবহার মস্তিষ্কে রক্ত ​​প্রবাহে বাধা রোধ করতে পারে।

  4. ECG কি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পূর্বাভাস দিতে পারে?

    একটি ECG হৃদযন্ত্রের ছন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বা অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক প্যাটার্ন সনাক্ত করতে পারে, যেমন দীর্ঘায়িত QT ব্যবধান, যা আপনার আকস্মিক মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়

  5. আমি কিভাবে আমার হৃদয় শক্তিশালী করতে পারি?

    দিনে অন্তত ৩০ মিনিট, সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন। উদাহরণ: দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, টেনিস খেলা এবং দড়ি লাফানো।

এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।

Written by Debmoy Bala