যুগটা সোশ্যাল মিডিয়ার। যুগটা গতির, আঙুলের ছোঁয়ায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বার্তা, ছবি ,ভিডিও, ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। মানুষের সময় বাচছে, কাজ সহজসাধ্য হচ্ছে। তবে প্রদীপের তলার অন্ধকার এর মতই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছড়াচ্ছে উস্কানিমূলক বার্তা,মনগড়া তথ্য এবং যুক্তিহীন পরামর্শ। সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মিত ব্যবহারকারীরা একটি শব্দের সঙ্গে বহুল পরিচিত। শব্দটি হল – হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি। না,আদতে এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া উস্কানিমূলক তথ্য ,মনগড়া পরামর্শ, ভুঁয়ো যুক্তি – এইসব যারা ছড়িয়ে দেন, চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেন এবং বাস্তবিক জীবনে কার্যকর করার চেষ্টা করেন।
মূলত তাদেরই ব্যঙ্গ করে হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত বলা হয়। এইসকল ভুয়ো তথ্য, আপত্তিজনক ছবির, ভিডিও আদান-প্রদান এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের ব্যাক্তি জীবন, গোষ্ঠীগত স্বার্থ, যুক্তিবোধ। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে মানুষের টাকা লুঠ, ঠেকিয়ে নেওয়ার ঘটনাও চোখে পড়ে।
তবে আর বেশিদিন নয়, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এই সব ভুয়ো তথ্যের উদ্ভব তথা আদান-প্রদান কারী ইউজার প্রোফাইল ব্যান্ করবে হোয়াটসঅ্যাপ।
কবে থেকে কার্যকরী হবে এই নিয়ম?
রিপোর্ট অনুযায়ী এপ্রিল মাস থেকেই এই সব ভুয়ো তথ্য আদান-প্রদান কারী বা আপত্তিজনক কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া ব্যবহারকারীদের একাউন্ট ব্যান করতে তৎপর হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ দপ্তর। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৭ লক্ষ একাউন্ট বাতিল করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অপর ব্যবহারকারীর করা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলির ব্যান করা হয়েছে।
এবং এই সমস্ত ব্যান হওয়া ব্যবহারকারীরা আর কখনো হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে। কেবল ক্ষতিকারক কন্টেন্ট আদান-প্রদান করাই নয়,অ্যাপটি ব্যবহারের শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছে এমন ব্যবহারকারীকেও ব্যান করতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী ‘This account is not allowed to use whatsapp ‘ অর্থাৎ, এই একাউন্টির হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার অনুমতি নেই – এমন একটি বিজ্ঞপ্তি পাবেন।
তবে ব্যান হয়ে যাওয়া একাউন্টটি ব্যবহারকারী চাইলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে পারেন। এক্ষেত্রে সাসপেন্ড বিজ্ঞপ্তিটি খুললে ‘support’ লেখা একটি অপশন নজরে পড়বে। সেই অপশনটিতে ব্যান হওয়া অ্যাকাউন্টের মালিক তার অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর রেজিস্টার্ড মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ইত্যাদি তথ্য জোগান দিতে হবে। এই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবার পর ব্যবহারকারীর দাবি বৈধ বলে
বিবেচিত হলে তবেই ব্যান হওয়া একাউন্টটিকে পুনরায় ব্যবহারের সুযোগ অর্থাৎ অ্যাকাউন্টটি re-open করে দেবে হোয়াটসঅ্যাপ।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মানুষ আশা করছেন হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা কর্তৃক গৃহীত এই নীতির ফলে বন্ধ হবে ভূয়ো তথ্য , ক্ষতিকারক কনটেন্ট এবং আপত্তিকর ডেটা ছড়িয়ে দেওয়ার ট্রেন্ড।
নতুন খবর এবং টেকনিকাল খেলাধুলা জ্ঞান মূলক তথ্য জানতে হলে আমাদের নোটিফিকেশন বেলটি Allow করতে ভুলবেন না এবং আমাদের সাথে জুড়ে থাকবেন