আপনার সঙ্গীকে নিয়ে চিন্তিত? আপনার সঙ্গীকে কি সন্ধেহ করছেন?

Your partner look into another girl

প্রথম দিকে হয়তো আপনাদের সম্পর্ক একটি স্বাভাবিক সম্পর্কের মত মধুর ছিল। আপনার বয়ফ্রেন্ড আপনার কতই না কেয়ার করতে একটা সময়। আপনার সুবিধা অসুবিধাগুলির খোঁজখবর নেওয়া। মাঝেমধ্যে ফোন করে আপনার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া আপনি খেয়েছেন কিনা সেটা জানা এমনকি ছোটখাটো বিষয়গুলোতেও তার আগ্রহ কম ছিল না। তারপর আপনাদের সম্পর্ক আরো মধুর হতে শুরু করে আরো গভীর পর্যায়ে যায়। তারপর কিছুদিন পর আপনি খেয়াল করছেন আপনার বয়ফ্রেন্ড কেমন জানি একটু আলাদা আচরণ করছে। ফোন করা খোঁজ খবর নেওয়ার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। এমনকি কাজে এতটাই সে ব্যস্ত থাকে যে আপনাকে সময় দিতে পারছে না। প্রশ্ন করলে উত্তরে সে বলে সে কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। এটা কিন্তু সাধারণ বিষয় নয় কথায় আছে”যার খোঁজ নেবার থাকে সে কাজের ফাঁকেও নেবে”আপনার ক্ষেত্রে যদি এইরকম ঘটনা ঘটে অবশ্যই বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখবেন।

মনে করুন আপনি আপনার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছেন। এমন সময় সুন্দরী একটি মেয়ে আপনাদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এবং আপনার বয়ফ্রেন্ড সেই মেয়েটির দিকে আর চোখে তাকিয়ে রয়েছে যতক্ষণ না সে চলে যায় প্রথমের দিকে আপনি হয়তো এই বিষয়টা সেই ভাবে নেবেন না কিন্তু দিনের পর দিন এটা যখন চলতে থাকবে আপনিও বুঝতে পারবেন আপনার বয়ফ্রেন্ডের তাকানোর ভঙ্গিমা একদমই ভালো লক্ষণ নয়।

সময়ক্রমে আপনাদের সম্পর্ক আরো খারাপ হতে শুরু করে ঝামেলা বাড়তে থাকে। এই বিষয়টা যদি আপনি প্রথম থেকেই মেনে নিয়ে থাকেন তাহলে সেখানে দোষ আপনার। আপনি এখানে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। আপনার সঙ্গী যদি আপনার থেকে অন্যের প্রতি নজর বেশি থাকে বিষয়টি অবশ্যই ভাববার বিষয়। সে জন্য আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে।

আপনার সঙ্গির সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন:

এই সমস্ত সমস্যাগুলি দেখা গেলে অবশ্যই আপনি আপনার সঙ্গে সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলুন ।কেন করছে? কি কি সমস্যা তার মধ্যে রয়েছে? সে কি আপনার সঙ্গে সুখী নয়? এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনি যদি প্রতিবাদ না করতে থাকেন তাহলে আপনার বয়ফ্রেন্ড আরো সাহস পেয়ে যাবে এবং পরবর্তীকালে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে।

অতিরিক্ত সমস্যায় কাউন্সিলিং করান:

অতিরিক্ত সমস্যা যখন বাড়তে থাকবে তখন অবশ্যই কোন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। এবং তার কাছে সবকিছু খুলে বলবেন কোন বিষয়ে লোক আবার চেষ্টা করবেন না। তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন সমাধানের পথ অবশ্যই দেবে।

আপনার বয়ফ্রেন্ডকে তার সমস্যাগুলি ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে খোলামেলা বুঝিয়ে বলুন:

যে সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে আপনি আপনার সঙ্গে সঙ্গে খোলামেলা  আলোচনা করুন। এবং বুঝিয়ে বলুন আপনার বিষয়গুলি খারাপ লাগে এবং ভবিষ্যতে যদি এ বিষয়গুলি থাকে আপনি তার সঙ্গে থাকতে পারবেন না সাফ জানিয়ে দিন। বুঝিয়ে বলুন এইগুলি ভবিষ্যতে বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে। আপনার বয়ফ্রেন্ড যদি সত্যিই আপনাকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে গুরুত্ব দেবে কথাগুলো মেনে চলবে। অন্যথা যদি আপনার কোন কথাই সে গুরুত্ব না দেয়, তবে একমাত্র পথ আপনাকে এই বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রত্যেকের জীবনেই কোন না কোন সমস্যা রয়েছে পারিবারিক কিংবা প্রেমের কিংবা দাম্পত্যের। সমস্যা থাকলে অবশ্যই সমাধানের চেষ্টা করুন। যদি কোনভাবেই সে সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আপনাকে কঠিন পথ অবলম্বন অবশ্যই করতে হবে।

এই ধরনের আরো বিভিন্ন অজানা তথ্য এবং সতর্ক বার্তা সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিউজওয়াপ সাইটটিকে ফলো করবেন এবং নোটিফিকেশনটি অবশ্যই Allow করে দেবেন।

Leave a Comment